1. ershadmc@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক .
  2. ashraf@websofttechnologyltd.com : businesstimesadmin :
  3. shafidocs@gmail.com : News Desk : News Desk
  4. rezadu31@gmail.com : বিজনেস ডেস্ক : বিজনেস ডেস্ক .

ট্রাম্পের স্থগিতাদেশের আগে ইউক্রেনকে কত সামরিক সহায়তা দিচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র?

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৩০ বার দেখা হয়েছে

রাশিয়ার ফেব্রুয়ারি ২০২২-এর আক্রমণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৬৫.৯ বিলিয়ন সামরিক সহায়তা দিয়েছে, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোমবার থেকে কিয়েভের জন্য নতুন সহায়তা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সহায়তা অনুমোদন করেছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি “অটল সমর্থন” বলে উল্লেখ করেছিল।

কিন্তু ট্রাম্পের আকস্মিক নীতিগত পরিবর্তনের ফলে এই সমর্থন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

২০ জানুয়ারি প্রকাশিত মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের তালিকা অনুযায়ী ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে ইউক্রেনকে দেওয়া মূল সামরিক সহায়তার বিবরণ নিচে তুলে ধরা হলো—

আকাশ প্রতিরক্ষা
রুশ বাহিনীর ক্রমাগত বিমান হামলার মুখে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে উন্নতমানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি প্যাট্রিয়ট সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ব্যাটারি। ইউরোপীয় মিত্ররাও এ ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনকে দিয়েছে।

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ১২টি এনএএসএএমএস, হক সিস্টেম ও গোলাবারুদ, এবং ৩,০০০ স্টিংগার অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল পাঠিয়েছে।

এর কার্যকারিতা বাড়াতে ২১টি এয়ার সার্ভেইল্যান্স রাডার এবং পশ্চিমা লঞ্চার ও মিসাইলগুলোর সঙ্গে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সমন্বয়ের জন্য বিশেষ সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে।

মিসাইল ও মর্টার
ওয়াশিংটন ২০০টির বেশি ১৫৫ মিমি হাউইটজার কামান এবং ৩০ লাখ গোলাবারুদ, ৭২টি ১০৫ মিমি হাউইটজার ও ১০ লাখ গোলাবারুদ, এবং ৭ লক্ষাধিক মর্টার সরবরাহ করেছে।

৪০টির বেশি হাইমার্স (এইচআইএমএআরএস) রকেট লঞ্চার ও সংশ্লিষ্ট গোলাবারুদ পাঠানো হয়েছে। ১০,০০০ এর বেশি জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল সরবরাহ করা হয়েছে, যা যুদ্ধের প্রথম দিকে ইউক্রেনীয় প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছিল।

এছাড়াও, ১২০,০০০টির বেশি অন্যান্য অ্যান্টি-ভেহিকল অস্ত্র, ১০,০০০ টিওডব্লিউ (টিওডব্লিউ) অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল এবং ৫০ কোটির বেশি ছোট অস্ত্রের গুলি ও গ্রেনেড ইউক্রেনীয় সেনাদের হাতে পৌঁছেছে।

ট্যাঙ্ক ও হেলিকপ্টার
পেন্টাগন ইউক্রেনকে সরাসরি যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে রাজি না হলেও, বাইডেন প্রশাসন ২০টি সোভিয়েত-নির্মিত এমআই-১৭ সামরিক হেলিকপ্টার দিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ড্রোনও সরবরাহ করা হয়েছে।

২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্র ৩১টি অত্যাধুনিক আব্রামস ট্যাঙ্ক পাঠিয়েছে, যদিও বাইডেন প্রশাসন এটি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। পাশাপাশি ৪৫টি সোভিয়েত-নকশার টি-৭২বি ট্যাঙ্কও ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র দফতরের তালিকায় আরও রয়েছে— ৩০০ ব্র্যাডলি যুদ্ধযান, ১,৩০০ সাঁজোয়া কর্মী বাহন, ৫,০০০-এর বেশি হামভি সামরিক যান এবং ৩০০টি সাঁজোয়া অ্যাম্বুলেন্স।

অন্যান্য সামরিক সহায়তা
ওয়াশিংটন ১০০টির বেশি টহল নৌকা, উপকূল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ক্লেমোর মাইন, স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা, নাইট ভিশন গগলস এবং ১,০০,০০০-এর বেশি বডি আর্মার সরবরাহ করেছে।

২০ জানুয়ারির পর কী?
এই তথ্য ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত হালনাগাদ করা। সেই দিন ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর, আগের প্রশাসনের অনুমোদিত কিছু “জরুরি গোলাবারুদ” পাঠানো অব্যাহত ছিল। এর মধ্যে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র এবং আর্টিলারি রাউন্ড রয়েছে। তবে নতুন সহায়তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন ইউক্রেনের জন্য ভবিষ্যতে কী সংকট বয়ে আনবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।

বিটি/ আরকে

নিউজটি শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও নিউজ

পুরাতন নিউজ খুঁজুন

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© কপিরাইট ২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT