1. ershadmc@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক .
  2. ashraf@websofttechnologyltd.com : businesstimesadmin :
  3. shafidocs@gmail.com : News Desk : News Desk
  4. rezadu31@gmail.com : বিজনেস ডেস্ক : বিজনেস ডেস্ক .

তহবিল বন্ধে যক্ষ্মায় মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫
  • ২৪ বার দেখা হয়েছে

যক্ষ্মা প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটলে মহামারী আকারে মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির তহবিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডব্লিউএইচওর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, শীর্ষ ৩০টি যক্ষ্মাপ্রবণ দেশে অর্থ সংকটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়ছে। স্বাস্থ্যকর্মী সংকটের মধ্যেও বহু স্বাস্থ্যকর্মী ছাঁটাইয়ের মুখে। এ ছাড়া টেকনিক্যাল সহায়তা স্থগিত হওয়ায় দেশগুলোর জাতীয় যক্ষ্মা কর্মসূচি দুর্বল হয়ে পড়ছে।

বুধবার (৫ মার্চ) সংস্থাটির গ্লোবাল টিবি প্রোগ্রামের পরিচালক ড. তেরেজা কাসায়েভা বলেন, ‘যক্ষ্মা প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় যে কোনো ধরনের ব্যাঘাত—তা আর্থিক, রাজনৈতিক বা কাঠামোগত যাই হোক, মহামারি আকারে মৃত্যু বাড়িয়ে দিতে পারে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির সময় স্বাস্থ্য সেবায় ব্যাঘাত ঘটায় ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সাত লাখেরও বেশি অতিরিক্ত মৃত্যু হয়েছে। জরুরি ব্যবস্থা না নিলে যক্ষ্মা মোকাবিলায় অর্জিত অগ্রগতি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত দুই দশকে যক্ষ্মা (টিবি) প্রতিরোধ, পরীক্ষা এবং চিকিৎসা সেবায় সাত কোটি ৯০ লাখের বেশি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। শুধু গত বছরই প্রায় ৩৬ লাখ ৫০ হাজার মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে একটি বিশাল অগ্রগতি। এই সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে আন্তর্জাতিক সহায়তা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি থেকে দেওয়া তহবিল। তবে হঠাৎ করেই এই তহবিল কাটছাঁট করায় অর্জিত সাফল্যগুলো হুমকির মুখে পড়েছে, যা লক্ষ লক্ষ মানুষের বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলছে।

ডব্লিউএইচও এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার (ওইসিডি) তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রতি বছর প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরাসরি বিভিন্ন দেশের যক্ষ্মা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কার্যক্রমে প্রদান করত। এটি আন্তর্জাতিক দাতাদের মোট অনুদানের এক চতুর্থাংশ ছিল। চলতি বছর এই তহবিল কাটছাঁটের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো। কারণ যুক্তরাষ্ট্র এতদিন সবচেয়ে বড় দ্বিপাক্ষিক দাতা ছিল। ১৮টি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ এই অনুদানের ৮৯ শতাংশ নির্ভরশীল ছিল, যা এখন হুমকির মুখে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আফ্রিকা, এরপর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল।

ইতোমধ্যেই শীর্ষ ৩০টি যক্ষ্মাপ্রবণ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়ছে। দেশগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মী সংকট, ছাঁটাই ও টেকনিক্যাল সহায়তা স্থগিতের পাশাপাশি ঔষধ সরবরাহ চেইনের ব্যাঘাত ঘটছে। একই সাথে কর্মী সংকট, তথ্য বিভ্রাট ও অর্থের অভাবে যক্ষ্মার ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ছে। ফলে চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও নিউজ

পুরাতন নিউজ খুঁজুন

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০  
© কপিরাইট ২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT