এখন থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পণ্য বা সেবা বাকিতে আমদানির জন্য বিদেশি সরবরাহকারীর পক্ষে ব্যাংক গ্যারান্টি ইস্যু করা যাবে। এ জন্য আর বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন নিতে হবে না। ঝামেলা এড়ানো ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন সহজীকরণের অংশ হিসেবে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সব ব্যাংকে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণভাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতের বিভিন্ন পণ্য ও সেবা তিন বা ছয় মাসের বাকিতে আমদানি করা হয়। নির্ধারিত সময় শেষে বিদেশি সরবরাহকারীর পাওনা পরিশোধের নিশ্চয়তার অংশ হিসেবে ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি গ্যারান্টি ইস্যু করতে হয়। ব্যাংকিং পরিভাষায় যা ‘ব্যাংক গ্যারান্টি বা স্ট্যান্ডবাই এলসি’ বলা হয়। এই গ্যারান্টির মাধ্যমে কোনো কারণে গ্রাহক যথাসময়ে অর্থ পরিশোধ না করলে ব্যাংক পরিশোধে নিশ্চয়তা দেয়। এতদিন এ ধরনের গ্যারান্টি ইস্যুর জন্য বিভিন্ন তথ্যসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হতো, যা ছিল ঝামেলাপূর্ণ ও সময়সাপেক্ষ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নীতিমালা এবং বিভিন্ন সার্কুলারে বিদেশি সরবরাহকারীর পক্ষে ব্যাংক গ্যারান্টি ইস্যুর বিষয়ে বলা আছে। এখন থেকে ব্যাংকগুলো নিজেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অধীন কর্তৃপক্ষ বা সত্তার আমদানিতে বিদেশি সরবরাহকারীর পক্ষে ব্যাংক গ্যারান্টি ইস্যু করতে পারবে। অবশ্য গ্যারান্টি ইস্যুর আগে এ ধরনের আমদানিকারককে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হবে। গ্যারান্টি ইস্যুর সময় ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করতে হবে যে, সরকারের ক্রয় চুক্তির (সেলস পার্চেজ কন্ট্রাক্ট) বিপরীতে এই পণ্য আনা হচ্ছে। আমদানি বাণিজ্যের অন্য সব নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
বিটি/ আরকে