চুয়াডাঙ্গায় শীতের প্রকোপ ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিদিন কমছে তাপমাত্রা। এ জেলার ওপর দিয়ে টানা তিনদিন শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। যা এ শীত মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। চুয়াডাঙ্গায় আবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। হিমেল হওয়ায় ওষ্ঠাগত হয়ে উঠছে জনজীবন।
জেলায় দিনে সূর্যের লুকোচুরি আর রাতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। যার কারণে শীত অনুভূতও হচ্ছে বেশি। তবে আবহাওয়া নিয়ে আছে সুসংবাদও। কারণ চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস তাদের পূর্বাভাসে বলছে, তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে আজকালের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাবে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান এসব তথ্য জানান।
এই কর্মকর্তা জানান, রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮০ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। এ নিয়ে ১২ ও ১৪ এবং ১৫ ডিসেম্বর ৩ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো এ জেলায়।
গত ১৯ নভেম্বর হতে এ জেলায় তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। এর মধ্যে সম্প্রতি শুরু হওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহে সৃষ্ট হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যপ্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। কনকনে ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারছে না খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাবে হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। যার মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।
বিটি/আলী