1. ershadmc@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক .
  2. ashraf@websofttechnologyltd.com : businesstimesadmin :
  3. shafidocs@gmail.com : News Desk : News Desk
  4. rezadu31@gmail.com : বিজনেস ডেস্ক : বিজনেস ডেস্ক .

সেন্ট মার্টিনে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটক যাওয়ার অনুমতি চান ব্যবসায়ীরা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৭০ বার দেখা হয়েছে

 

আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের যাতায়াত ও রাত্রি যাপনের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন সেন্ট মার্টিন সংশ্লিষ্ট সব খাতের ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের ব্যানারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত নভেম্বরে সেন্ট মার্টিন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। কিন্তু ওই সময় ট্রাভেল পাস নিয়ে জটিলতাসহ নানা কারণে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকরা যেতে পারেননি। ডিসেম্বর থেকে পর্যটকরা যেতে পারলেও অনেককে ট্রাভেল পাস নিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আগামী মার্চে রমজান মাস শুরু হবে। এর আগে ফেব্রুয়ারি ভ্রমণের মোক্ষম সময়। এ সময় পর্যটক যাওয়া বন্ধ থাকলে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে দ্বীপবাসী। তাই ব্যবসায়ী, স্থানীয় জনগণ, শ্রমিক কর্মচারী ও দিনমজুরদের স্বার্থে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাতায়াত ও রাত্রি যাপনের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানান তারা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, পর্যটন দুই তিন মাস হলেও সারা বছর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে হয়। শুধু ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এ দুই মাসের আয় দিয়ে এক বছরের ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়। এমনিতেই দ্বীপ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করে লোকসানের মধ্যে আছে। ফেব্রুয়ারিতে পর্যটক পেলে লোকসান কিছুটা কম হবে। তাই সরকার সংশ্লিষ্টদের কাছে ফেব্রুয়ারি মাসে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের যাতায়াত ও রাত্রি যাপনের অনুমতি চান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষন উন্নয়ন জোটের চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরেশী বলেন, ছাত্র-ছাত্রী, স্থানীয় জনগণ, দিনমজুর, কুলি, শ্রমিক, মৎস্যজীবী, চাকরিজীবী, তরুণ উদ্যোক্তা, পর্যটন ব্যবসায়ী, ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী, হোটেল, রিসোর্ট মালিকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও সরকার সেন্ট মার্টিন ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা এবং রাত্রি যাপন ও পর্যটক যাতায়াত সীমিত করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। এখানে আর্থিক সংকট ও অভাব দেখা দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পড়ালেখা ও ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত। পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অসংখ্য চাকরিজীবী বেকার হয়ে পড়েছে। উদ্যোক্তারা পথে বসে গেছে। হোটেল রিসোর্ট মালিকদের বিনিয়োগ হুমকির মুখে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জনজীবনের ব্যাপক ক্ষতি ও মানবিক সংকটের কথা বিবেচনায় আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানান তিনি।

সভায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রতিবছর ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পর্যটন উপলক্ষে যাতায়াত করত। কিন্তু এ বছর পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের থেকে পর্যটন সীমিতকরণের আদেশ জারি করে। আদেশে বলা হয়, নভেম্বর মাসে পর্যটকরা সেন্ট মার্টিন যেতে পারবে কিন্তু রাত্রি যাপন করতে পারবে না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এ দুই মাস দুই হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে পারলেও ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটকরা সেন্ট মার্টিনে যেতে পারবেন না। কিন্তু যথাযথ সময়ে জাহাজ চলাচলের অনুমতি না পাওয়ায় গত নভেম্বরে কোনো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে পারেননি। ১ ডিসেম্বর থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি হলেও ট্রাভেল পাস সংগ্রহের আতঙ্কে পর্যাপ্ত সংখ্যক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে পারেননি। যার কারণে শতভাগ পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল সেন্ট মার্টিনবাসী এবং পর্যটন ব্যবসায়ীরা সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে ২ মাসের আয় দিয়ে সেন্ট মার্টিনবাসীর ১২ মাস চলা সম্ভব নয়। মানবিক বিবেচনায় পর্যটকদের জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য জোর দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সেন্ট মার্টিন ক্রুজ জাহাজ মালিকদের নেতা আটলান্টিক জাহাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম, তিলোত্তমা ইকো রিসোর্টের মালিক ও স্থানীয় পরিবেশবাদী জাভেদ রহমান, কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের প্রতিনিধি সারোয়ার হোসেন প্রমুখ। এছাড়া ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব), ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা, সেন্ট মার্টিন হোটেল মালিক সমিতি, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সেন্ট মার্টিন, ই-ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ট্যাব), সেন্ট মার্টিন দোকান মালিক সমিতি, বোট মালিক সমবায় সমিতি, মৎস্যজীবী মালিক সমিতি, বাংলাদেশ স্লিপার এসি বাস মালিক সমিতি, জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি-ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কুয়াব) নেতা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিটি/ আরকে

নিউজটি শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও নিউজ

পুরাতন নিউজ খুঁজুন

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© কপিরাইট ২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT