back to top
18 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর 7, 2024

সোনাদিয়ায় ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণে ইজারা চুক্তি স্থগিত

Must read

কক্সবাজারের মহেশখালীতে সোনাদিয়া-ঘটিভাঙ্গা মৌজায় ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সই করা ইজারা চুক্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

বেলার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আশরাফ আলী, সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।

পরে বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরিবেশগত তাৎপর্য বিবেচনায় কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলাধীন সোনাদিয়া দ্বীপের ৪৯১৬ হেক্টর এলাকা ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যেখানে প্রাকৃতিক বন ও গাছ কর্তন; উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাস্থল ধ্বংসকারী সকল কার্যক্রম এবং ভূমি ও পানির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট বা পরিবর্তন করতে পারে এমন সকল কার‌্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।

পরবর্তীতে একই সালের ৩ মে অপর একটি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ২১২১ দমশকি ৯৬ একর প্রজ্ঞাপিত বনভূমিকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার আওতা বহির্ভুত করা হলে বেলা তা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৩ সালের রিট করে। ওই রিটের শুনানি শেষে সোনাদিয়া দ্বীপের ৪৯১৬ হেক্টর এলাকায় ইজারা বা দ্বীপ ধ্বংসকারী সকল কার্যক্রমের অনুমোদন স্থগিত করেন।

এরপরও সোনাদিয়া দ্বীপের ৯৪৬৬ দশমিক ৯৩ একর যার মধ্যে ২৭১২ একর প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা এবং ৮০০১ দশমিক ৭০ একর প্রজ্ঞাপিত বনভূমি ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কে ইজারা দেন।

এর বিরুদ্ধে রিটের পর আদালত রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে আদালত কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে সোনাদিয়া দ্বীপের প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় গাছ কাটা এবং চিংড়ি ঘের নির্মাণ বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেছেন। একইসঙ্গে সোনাদিয়া দ্বীপের ৪৯১৬ হেক্টর ঘোষিত প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার ও ৮০০১ দশমিক ৭০ একর প্রজ্ঞাপিত বনভূমির যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা নিরুপণ করে প্রতিবেদন আকারে এবং একটি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা তৈরি করে তা ৬ মাসের মধ্যে আদালতে দাখিলের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন।

বিটি/ আরকে

- Advertisement -spot_img

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

Latest article