দেশসেরা ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে দেশের ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনারদের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম। ৪৪টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৪৪টি ব্র্যান্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয় মোস্ট লাভড ব্র্যান্ড অব বাংলাদেশ বা দেশের সেরা ব্র্যান্ডের সম্মানসূচক পুরস্কার। এছাড়া ১৫টি ব্র্যান্ডকে প্রদান করা হয় ‘ওভার অল টপ ১৫ মোস্ট লাভড ব্র্যান্ডস অব বাংলাদেশ’ সম্মাননা।
সম্প্রতি রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ১৬ তম আসরে একটি জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় পুরস্কার। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে এনসার্চ লিমিটেডের অংশীদারত্বে এবং দ্য ডেইলি স্টারের সহযোগিতায় আয়োজিত হয় বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৪।
এই বছর বেস্ট ব্র্যান্ডের মর্যাদা লাভ করেছে বিকাশ। গ্রামীণফোন এবং আরএফএল হাউস ওয়্যার যথাক্রমে দেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের খেতাব অর্জন করে। এই তালিকায় ৪-১৫ নম্বরে থাকা অন্য ব্র্যান্ড গুলো হচ্ছে রাঁধুনি মসলা, ক্লোজ আপ, এসিআই পিওর সল্ট, স্বপ্ন, সানসিল্ক, ইস্পাহানি মির্জাপুর, ওয়ালটন, ম্যাগি ২ মিনিট নুডলস, প্রাণ ফ্রুটো, প্যারাসুট অ্যাডভান্সড, ফ্রেশ আটা ময়দা সুজি এবং রূপচাঁদা ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল। ব্র্যান্ড ইকুইটি ইনডেক্সের ভিত্তিতে বিগত ৩ বছর ধারাবাহিকভাবে সবচেয়ে ঊর্ধ্বগামী প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করায় গ্রিকে ‘মোস্ট ইমার্জিং ব্র্যান্ড অব বাংলাদেশ’ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বছরের সেরা ব্র্যান্ড বাছাই করতে এনসার্চ লিমিটেড একটি জরিপ পরিচালনা করে। এই জরিপটি বাংলাদেশের আটটি বিভাগের শহর ও গ্রামীণ উভয় অঞ্চলে পরিচালিত হয়েছিল। সমান শতাংশের নারী ও পুরুষ নিয়ে মোট ১১ হাজার ২০০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এনসার্চ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার সামিনা আফরিন এক বিস্তারিত আলোচনায় বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এর মেথোডোলোজি ব্যাখ্যা করেন।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ব্র্যান্ড এখন কেবলমাত্র আমাদের ব্যবহৃত পণ্য নয়-এগুলো আমাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে জড়িত। একটি ব্র্যান্ডের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকে তারা নিজেদের বিকাশের পাশাপাশি জাতি ও সমাজের প্রতি তার দায়িত্ব পালন করে, ইতিবাচক পরিবর্তনের শক্তিশালী চালক হয়ে উঠবে। আজকে আমরা সেই ব্র্যান্ডগুলোকে উদ্যাপন করছি যারা তাদের ব্যবসায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির বৃদ্ধি উন্নয়নে অর্থবহ অবদান রেখেছে। আমি বিশ্বাস করি যে এই সম্মাননাটি ব্র্যান্ডগুলোকে উচ্চতর লক্ষ্য রাখতে এবং জাতি হিসেবে আমাদের আরও বড় স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করবে।’
২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে উপস্থিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড গুলোকে অনুপ্রাণিত ও সম্মানিত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের হাত ধরে শুরু হয় বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের যাত্রা।