1. ershadmc@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক .
  2. ashraf@websofttechnologyltd.com : businesstimesadmin :
  3. shafidocs@gmail.com : News Desk : News Desk
  4. rezadu31@gmail.com : বিজনেস ডেস্ক : বিজনেস ডেস্ক .
  5. abdullahsheak8636@gmail.com : Shk Abd : Shk Abd
নতুন সংবাদ
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আসছে টানা তিন দিনের ছুটি নতুন নির্দেশনায় আরও কঠিন হচ্ছে মার্কিন ভিসা নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলের শীর্ষ তিন ডজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগে আবেদন শুরু আজ ক্রিকেটার জাহানারা আলমের গুরুতর অভিযোগের পরে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিসিবি সাভারের চামড়া শিল্পনগরী বিসিক হতে যাচ্ছে বেপজার অধীনে জাপান শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে ‘জাপান সেল’ গঠন, টিটিসি বৃদ্ধি করবে বাংলাদেশ সেনাপ্রধানকে ঘিরে মিথ্যা প্রচারণা, সতর্ক থাকার আহ্বান সেনাবাহিনীর এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি গ্রেপ্তার, আত্মসাতের অভিযোগে কারাগারে মাছের নিরাপদ প্রজনন ও ডলফিন সংরক্ষণে হালদা নদীকে ‘মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষণা

বৈদ্যুতিক যানবাহন নীতিমালা ২০২৫ প্রকাশ

বিজনেস টাইমস
  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫

সরকার বৈদ্যুতিক যানবাহন শিল্পের বিকাশে গতি আনতে ‘ইলেকট্রিক ভেহিকল ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট পলিসি ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে। এ প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ২০২৬ ও ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সব বৈদ্যুতিক যানবাহন শনাক্ত ও নিবন্ধনের লক্ষ্যে সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নীতির মূল উদ্দেশ্য হলো দেশীয় উৎপাদন উৎসাহিত করা ও পরিবহন খাতে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করা।

শিল্প মন্ত্রণালয় প্রণীত এই খসড়া নীতির চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মতামত চাওয়া হয়েছে।

অধিকর্তারা জানিয়েছেন, নীতিমালার লক্ষ্য হলো বৈদ্যুতিক যানবাহনের যন্ত্রাংশের দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি, আমদানি নির্ভরতা কমানো এবং বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানো। খসড়ায় বৈদ্যুতিক যানের সংজ্ঞা অনুযায়ী, এটি এমন একটি যানবাহন যা এক বা একাধিক বৈদ্যুতিক মোটরের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রিচার্জেবল ব্যাটারি থেকে শক্তি গ্রহণ করে চলে। তবে ব্যাটারিচালিত সাইকেল ও রিকশা যেগুলো ‘ইজি বাইক’ নামে পরিচিত এই সংজ্ঞার আওতায় আসবে না।

দেশে বৈদ্যুতিক যানবাহন উৎপাদন বাড়াতে খসড়ায় নানা প্রণোদনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এলইডি ও লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি উৎপাদনকারীদের জন্য কর ও ভ্যাট ছাড়, ইভি ও এর যন্ত্রাংশ রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনা, এবং বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধা। পাশাপাশি ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প গড়ে তুলতে নীতিগত ও আর্থিক সহায়তার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।

নীতির কার্যকর বাস্তবায়ন ও সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করতে শিল্প উপদেষ্টা বা মন্ত্রীরর নেতৃত্বে ‘ইলেকট্রিক ভেহিকল ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। গত দুই দশকে দেশটিতে ১৮৫টি বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ১১ হাজার ৪৫০ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাদের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ, যার নিয়ন্ত্রণে পরিবহন খাত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম কার্বন নিঃসরণ উৎস হলো পরিবহন খাত, যা মোট জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় ৬৩ শতাংশ ব্যয় করে। এ খাতে নিঃসরণের ৮১ শতাংশই সড়ক পরিবহন থেকে আসে।

সড়ক খাতের কার্বন নিঃসরণে ভারী ট্রাক ও বাসের অবদান ৫৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ, ব্যক্তিগত গাড়ির ২২ দশমিক ১০ শতাংশ, হালকা ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনের ১৯ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং মোটরসাইকেলের শূণ্য দশমিক ৪৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবহন খাত থেকে ৩ দশমিক ৩৯ টন নিঃশর্তভাবে এবং ৬ দশমিক ৩৩ টন শর্তসাপেক্ষে (বিদেশি সহায়তায়) কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

অধিকর্তাদের মতে, বৈদ্যুতিক যানবাহন শিল্পের বিকাশ এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর ফলে জ্বালানি আমদানি ব্যয় কমবে, নতুন শিল্প খাত গড়ে উঠবে এবং যানবাহন সংযোজন, চার্জিং ও রক্ষণাবেক্ষণ সেবায় কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

রানার গ্রুপের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স প্রধান মোহাম্মদ আমিনুর রহমান উদ্যোগটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “নীতিমালায় বৈদ্যুতিক যানবাহন শিল্পের চ্যালেঞ্জগুলো ভালোভাবে প্রতিফলিত হয়েছে, তবে শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মধ্যে আরও সমন্বয় প্রয়োজন।”

তিনি বলেন, “সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবে দেশে বৈদ্যুতিক যানবাহন শিল্পের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে।”

বর্তমানে র‍্যাংগস, মিতসুবিশি ও হুন্দাই বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড যানবাহন উৎপাদন করছে, তবে উৎপাদনের বিভিন্ন ধাপে অসঙ্গতি রয়েছে। আমিনুর রহমান আরও জানান, “সব যন্ত্রাংশ এক জায়গায় উৎপাদন বা সংযোজন করা হয় না, ফলে বিভিন্ন উপকরণের ওপর ভিন্ন ভিন্ন শুল্ক আরোপ করা হয়। এতে কর ছাড়ের সুবিধা পুরোপুরি ভোগ করা সম্ভব হয় না।”

বিটি/ আরকে

Tags:

এই ধরনের আরও নিউজ

আরও সংবাদ

কারেন্সি কনভার্টার

বাজেটের সবখবর

© কপিরাইট ২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT