বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে (জিএইচআই) বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং এ বছর ১৯.৪ স্কোর নিয়ে কিছুটা উন্নতি করেছে, যা গুরুতর-ক্ষুধার্ত লিস্টের বিভাগ থেকে অল্পের জন্য বেরিয়ে আসতে সহায়তা করেছে।
কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং ওয়েলথাঙ্গারলাইফ (ডব্লিউএইচএইচ) ডাটা প্রকাশের একদিন আগে মঙ্গলবার জিএইচআই ২০২৪-এর তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ ১২৭ দেশের মধ্যে ৮৪ তম স্থানে রয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে গুরুতর ক্ষুধা গোষ্ঠী থেকে মধ্যম ক্ষুধার বিভাগে উন্নতি করে।
তবে জিএইচআই বলছে, বাংলাদেশ, মোজাম্বিক, নেপাল, সোমালিয়া এবং টোগো তাদের জিএইচআই স্কোরে সামান্য উন্নতি করেছে যদিও এই দেশগুলোতে ক্ষুধা অনেক বেশি।
জিএইচআই রিপোর্ট এটা স্পষ্ট করেছে যে, বিশ্ব ২০২০ সালের মধ্যে শূন্য ক্ষুধা অর্জনের লক্ষ্য পূরণ থেকে অনেক দূরে।
প্রতিবেদনটি বিশ্ব, আঞ্চলিক এবং দেশ পর্যায়ে ব্যাপকভাবে ক্ষুধা পরিমাপ এবং ট্র্যাকিং করে প্রকাশ করে। সমস্ত জিএইচআই সূচক – অপুষ্টি, শিশু স্টান্টিং, শিশু অপচয় এবং শিশুমৃত্যুর অগ্রগতি মূল্যায়ন করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। অনেক দেশ এবং অঞ্চল অভূতপূর্ব মাত্রার তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হচ্ছে, যার দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য সম্ভাব্য মারাত্মক প্রভাব রয়েছে।
দেশগুলির মধ্যে, ৩৬টি গুরুতর ক্ষুধার স্তরে রয়েছে এবং অন্য ছয়টি উদ্বেগজনক স্তরে রয়েছে।
জিএইচআই শ্রেণীতে ৯.৯ স্কোর কম ক্ষুধা, ১০.০ থেকে ১৯.৯ মাঝারি, ২০.০ থেকে ৩৪.৯ গুরুতর, ৩৫.৯ থেকে ৪৯.৯ স্কোর উদ্বেগজনক এবং ৫০.০ থেকে উপরে অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২০০০ সালে ৩৩.৯, ২০০৮ সালে ৩০.৬ এবং ২০২৬ সালে ২৪.৭।
অপুষ্টিজনিত জনসংখ্যা এবং শিশুমৃত্যুর হার যথাক্রমে ১১.৯ শতাংশ এবং ২.৯ শতাংশের উন্নতির কারণে দেশের স্কোর উন্নত হয়েছে।
বিটি/ আরকে