গবেষণায় দেখা গেছে যে তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক ও মধ্যবয়সীদের মধ্যে ক্যান্সারের হার দ্রুত বাড়ছে, বিশেষ করে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল (পাচনতন্ত্র সম্পর্কিত) ক্যান্সারের ক্ষেত্রে। কলাম্বিয়া ম্যাাগাজিন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোলন, পাকস্থলী এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের পাশাপাশি স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সারের হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একটি সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৫০ বছরের কম বয়সী আমেরিকানদের মধ্যে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যান্সারের হার ১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে, আর ৫০ বছরের কম বয়সী নারীদের স্তন ক্যান্সার শনাক্তের হার ৮% বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতা বিস্ময়কর, কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বয়স্কদের মধ্যে ক্যান্সারের হার কমেছে।
কোলন ও রেকটাল সার্জন বিট্রিস ডিওনিগি বলেন, ১৫ বছর আগে মেডিকেল স্কুলে পড়ার সময় তাকে শেখানো হয়েছিল যে কোলন ক্যান্সার সাধারণত বয়স্কদের রোগ। তবে ক্যারিয়ার শুরু করার পর তিনি দেখেছেন যে অনেক কম বয়সী রোগীও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এখন নিয়মিত ৩০ ও ৪০-এর দশকের রোগীদের সার্জারি করতে হচ্ছে, যাদের অনেকের রোগ আগ্রসর পর্যায়ে থাকে।
ক্যান্সার মহামারী বিশারদ রেবেকা কেহম বলেন, “অবশ্যই কিছু বদলাচ্ছে, যা তরুণদের অতীত প্রজন্মের তুলনায় বেশি ঝুঁকিতে ফেলছে।”
ক্যান্সার বৃদ্ধির সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, তরুণদের মধ্যে স্থূলতার হার বৃদ্ধিই প্রধান কারণ, কারণ অতিরিক্ত চর্বি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ও টিউমার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, স্থূলতা স্তন ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
তবে অন্যরা মনে করেন, স্থূলতা আসল ঝুঁকির চিহ্নমাত্র, মূল সমস্যা হতে পারে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও অলস জীবনধারা।
এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
বিটি/ আরকে