পর্যটকের ভিড় বেড়েছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আর শীত মৌসুমে ভ্রমণ উপযোগী হওয়ায় সমুদ্র সৈকতে এমন ভিড় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, এখন কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলগুলোও পরিপূর্ণ। বিচের বালুকাবেলায় সমুদ্রস্নান, বিচ বাইক, ঘোড়া আর জেট-স্কি রাইডে মেতে উঠেছেন পর্যটকরা। চাকরিজীবীরাও রোববার ছুটি নিয়ে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্রমণে বের হয়েছেন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিসেম্বরজুড়েই পর্যটকের চাপ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ায় পরিবার নিয়ে অবকাশ যাপনে কক্সবাজারকে বেছে নিয়েছেন অনেকে। কয়েক দিন ধরে সৈকত ও আশপাশের বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় পর্যটকের ভিড় বেড়েছে।
হোটেল-মোটেলের কক্ষও শতভাগ বুকিং হয়েছে। জানুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজারে পর্যটকদের আনাগোনা থাকবে। শহরের অভিজাত ও মাঝারি মানের হোটেল, রিসোর্ট, কটেজের কক্ষ আগাম বুকিং চলছে। চলতি মাসে অনেক হোটেলেই বুকিং শেষ হয়েছে।
তবে পর্যটকদের ভিড়ের এই সুযোগ নিয়ে কোনো হোটেল মালিক যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে, এজন্য সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার।
এদিকে পর্যটকরাও এই সময়ে বক্সবাজার ভ্রমণ উপভোগ করছেন। সাভার থেকে আসা পর্যটক ইমরান হোসেন বলেন, পরিবারের সঙ্গে কক্সবাজারে আসাটা সবসময়ই বিশেষ অনুভূতির। সমুদ্রের ঢেউ আর প্রকৃতি যেন মন ভালো করে দেয়।
ঢাকার মিরপুর থেকে আসা নূর ইসলাম বলেন, প্রতি বছর মা-বাবার সঙ্গে এলেও এবার নববধূ নিয়ে দীর্ঘতম সমুদ্রের নীল জলরাশি দেখতে এলাম। শীতের সময় সমুদ্রে টিউব নিয়ে ভেসে বেড়ানোর আনন্দই আলাদা।
অন্যদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশও তৎপর রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম বলেন, পর্যটকদের ভ্রমণ নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, পর্যটকরা আমাদের মেহমান। তাদের সন্তুষ্টি আর নিরাপত্তায় সর্বদা প্রস্তুত জেলা প্রশাসন। পর্যটকদের কোনো ধরনের হয়রানি সহ্য করা হবে না।
বিটি/আলী