1. ershadmc@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক .
  2. ashraf@websofttechnologyltd.com : businesstimesadmin :
  3. shafidocs@gmail.com : News Desk : News Desk
  4. rezadu31@gmail.com : বিজনেস ডেস্ক : বিজনেস ডেস্ক .

আজও শোষণ করে সম্পদের পাহাড় গড়ছেন পশ্চিমের ধনীরা: অক্সফাম

বিজনেস ডেস্ক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৯ বার দেখা হয়েছে

বিশ্বের ধনী দেশগুলোর বিশেষ করে ইউরোপের ধনীদের একটি বড় অংশ উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাঁদের সে সম্পদের একটি বড় অংশ এসেছে ঔপনিবেশিক আমলে। উপনিবেশ আমলে আফ্রিকা, ভারতীয় উপমহাদেশ এবং দক্ষিণের দেশগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পদ পশ্চিমা দেশগুলোর ধনীদের হতে চলে গেছে। একইভাবে আজও এভাবে সম্পদের শোষণ চলছে।

আজ সোমবার প্রকাশিত অক্সফামের এক প্রতিবেদনে এমন কথা বলা হয়েছে। অক্সফাম তাদের ‘টেকার্স নট মেকার্স’ শিরোনামে এই প্রতিবেদনে ঔপনিবেশিক আমলে ধনী দেশগুলো কীভাবে তাদের উপনিবেশ থেকে সম্পদ শোষণ করেছে, তার উদাহরণও দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের ১০ শতাংশ ধনকুবের ঔপনিবেশিক আমলে তাদের সম্পদের অর্ধেক পেয়েছেন ভারত থেকে। এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে ভারত ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। সেই সময়ে ব্রিটিশরা ৬৪ লাখ ৮২ হাজার কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ ভারত থেকে নিজেদের দেশে নিয়ে যায়। ওই সম্পদের মধ্যে ৩৩ লাখ ৮ হাজার কোটি ডলার অর্থ গেছে যুক্তরাজ্যের ওই ১০ শতাংশ ধনীর হাতে। এই অর্থ যদি ৫০ পাউন্ডে ভাঙানো হয়, তবে সেই নোট দিয়ে পুরো লন্ডন প্রায় চারবার ঢেকে ফেলা যাবে।

অক্সফাম হিসাব করে দেখেছে, শুধু যুক্তরাজ্য নয়, পুরো বিশ্বে ধনকুবেরদের ৩৬ শতাংশ সম্পদ এসেছে উত্তরাধিকারসূত্রে।

ফোর্বসের এক গবেষণা অনুযায়ী, ৩০ বছর বয়সের নিচে যত শতকোটিপতি আছেন, তাঁদের সবাই উত্তরাধিকারসূত্রে সম্পদের মালিক হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে তরতরিয়ে বাড়ছে ধনকুবেরদের সম্পদ। শুধু ২০২৪ সালেই বিশ্বে তাঁদের সম্পদের মোট পরিমাণ দুই লাখ কোটি মার্কিন ডলার বেড়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে তাঁদের সম্পদ বেড়েছে ৫৭০ কোটি ডলার করে।

গত বছর শতকোটিপতিদের সম্পদের পরিমাণ তার আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ দ্রুত হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক অক্সফাম; বেড়েছে শতকোটিপতির সংখ্যাও।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে বিশ্বে শতকোটিপতি ছিলেন ২ হাজার ৫৬৫ জন। গত বছর সে সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৭৬৯ জন। অর্থাৎ গত বছর প্রতি সপ্তাহে প্রায় চারজন নিজেদের সম্পদের পরিমাণ বাড়িয়ে শতকোটিপতির দলে যুক্ত হয়েছেন।

আর এক বছরে শতকোটিপতিদের মোট সম্পদ ১৩ লাখ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ১৫ লাখ কোটি ডলার হয়েছে।

এসব মাত্রাতিরিক্ত ধনীরা কোথা থেকে এত সম্পদ পেয়েছেন বা পাচ্ছেন, তার ব্যাখ্যা দিয়েছে অক্সফাম। এসব ধনী, বিশেষ করে ইউরোপের ধনীদের একটি বড় অংশ পরিবার থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে এসব সম্পদ পেয়েছেন এবং তাঁদের সে সম্পদের একটি অংশ এসেছে ঔপনিবেশিক আমলে।

যেমন ফ্রান্সের ‘মিডিয়া মোগল’ ভিনসেন্ট বোলোরের সম্পদ। তাঁর সম্পদের বড় একটি অংশ এসেছে ঔপনিবেশিক আমলে আফ্রিকায় তাঁর নানা কোম্পানির আয় থেকে।

আজও এভাবে সম্পদের শোষণ চলছে বলে জানিয়েছে অক্সফাম। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই শোষণের মাধ্যমে পৃথিবীর দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলো থেকে বিশাল অঙ্কের অর্থ এখনো পৃথিবীর পশ্চিম ও উত্তরের দেশ এবং ওই সব দেশের নাগরিকদের হাতে চলে যাচ্ছে।

অক্সফাম একে আধুনিক সময়ের ‘উপনিবেশবাদ’ বলে বর্ণনা করেছে। আধুনিক উপনিবেশবাদে এ শোষণ চলে নিয়ন্ত্রিত আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে।

অক্সফামের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই আর্থিক ব্যবস্থার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মতো উত্তরের দেশগুলোর ১ শতাংশ ধনী দক্ষিণের দেশগুলো থেকে প্রতি ঘণ্টায় তিন কোটি মার্কিন ডলার নিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্বের মোট সম্পদের ৬৯ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ এই উত্তরের দেশগুলোর হাতে। শতকোটিপতিদের মোট সম্পদের ৭৭ শতাংশ এসব দেশে। ৬৮ শতাংশ শতকোটিপতি উত্তরের দেশগুলোতে বসবাস করেন। অথচ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২১ শতাংশ ওই সব দেশে বসবাস করে।

অক্সফামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে নিজ নিজ দেশ এবং বৈশ্বিকভাবে ধনী ও গরিবের মধ্যে আয়ের ব্যবধান কমাতে হবে। এ জন্য এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যেন সমাজের ওপরতলার ১০ শতাংশ মানুষের আয় সমাজের নিচের তলার ৪০ শতাংশ মানুষের আয়কে ছাড়িয়ে যেতে না পারে। আয়ের বৈষম্য দূর করা সম্ভব হলে তিন গুণ বেশি গতিতে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব হবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।

এ ছাড়া ধনীদের কাছ থেকে আরও কর আদায় করে তাদের অতিরিক্ত ধনী হওয়া আটকানো যেতে পারে। সেই সঙ্গে কর দিতে হয় না, এমন স্থান এবং ব্যবস্থা বিলুপ্ত করতে হবে। অক্সফামের বিশ্লেষকেরা দেখেছেন, শতকোটিপতিদের অর্ধেক এমন দেশে বসবাস করেন, যেখানে সরাসরি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সম্পদের জন্য কর দিতে হয় না।

দক্ষিণের দেশগুলো থেকে উত্তরের দেশগুলোতে সম্পদের প্রবাহও থামাতে হবে বলে মনে করে অক্সফাম।

নিউজটি শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও নিউজ

পুরাতন নিউজ খুঁজুন

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০  
© কপিরাইট ২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT