1. ershadmc@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক .
  2. ashraf@websofttechnologyltd.com : businesstimesadmin :
  3. shafidocs@gmail.com : News Desk : News Desk
  4. rezadu31@gmail.com : বিজনেস ডেস্ক : বিজনেস ডেস্ক .
  5. abdullahsheak8636@gmail.com : Shk Abd : Shk Abd
নতুন সংবাদ

তেলের বাজার অস্থির, বিশ্ব অর্থনীতিতে উদ্বেগ

বিজনেস টাইমস
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এর ফলে অপরিশোধিত তেলের দাম হু হু করে বাড়ছে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। খবর রয়টার্স

চলতি জুন মাসেই ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০ সালের পর এক মাসে তেলের দামে এটিই সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন। মাত্র তিন বছর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় জ্বালানির দাম যেভাবে বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতির আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সুদের হার বাড়াতে বাধ্য করেছিল সেই স্মৃতি আবারও ফিরে আসছে।

দাম কতটা বাড়তে পারে?

তেলের সরবরাহ এখন পর্যন্ত ব্যাপকভাবে ব্যাহত না হওয়ায় দাম এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, বর্তমান দাম ব্যারেলপ্রতি প্রায় ৭৭ ডলারে থাকলেও এটি ২০২২ সালের ১৩৯ ডলারের রেকর্ড উচ্চতার তুলনায় কম।

এবিএন আমরো সলিউশনসের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা ক্রিস্টোফ বাউচার বলেন, ‘তেলের দাম যদি ব্যারেলপ্রতি ৮০-১০০ ডলারে পৌঁছায় এবং সেখানে স্থির থাকে, তবে তা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য বড় বিপদের কারণ হবে। আমরা এখন সেই সীমার ঠিক নিচে অবস্থান করছি।’

সরবরাহ সংকট কি আসন্ন?

বিশ্বের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ তেল সরবরাহ হয় হরমুজ প্রণালী দিয়ে, যা এখন ব্যবসায়ীদের নজরে রয়েছে। সেখানে যদি কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়, তাহলে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়াতে পারে।

ওপেক+ জোট দৈনিক অতিরিক্ত ১.২ মিলিয়ন ব্যারেল তেল সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি এখনও বাজারে আসেনি। হেজ ফান্ড সভেল্যান্ড ক্যাপিটালের পরিচালক নাদিয়া মার্টিন উইগেন বলেন, ‘যদি জাহাজ চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এই অতিরিক্ত তেল আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত মালবাহী জাহাজের ভাড়া দেখে মনে হচ্ছে না যে চীন সরবরাহ সংকট নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে তেল কিনতে শুরু করেছে। তবে চীন যদি কিনতে শুরু করে, তখন জাহাজভাড়া বাড়বে এবং জ্বালানির দামও পাল্লা দিয়ে বাড়বে।’

তেলের দাম বাড়া মানেই প্রবৃদ্ধিতে বাধা

তেলের দাম বাড়লে স্বল্পমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ে এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়, যার ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হয়। জাপান ও ইউরোপের মতো তেল আমদানিকারক দেশগুলোর জন্য এটি কার্যত অতিরিক্ত করের মতো কাজ করে।

লম্বার্ড ওডিয়েরের প্রধান অর্থনীতিবিদ স্যামি চার বলেন, ‘তেলের দাম যদি ১০০ ডলারের ওপরে স্থির থাকে, তাহলে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ কমে যাবে এবং মুদ্রাস্ফীতি ১ শতাংশ বাড়বে।’

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরবিসি’র প্রধান অর্থনীতিবিদ ফ্রান্সেস ডোনাল্ড বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে যদি তেলের দাম ৭৫ ডলারে স্থির থাকে, তাহলে বছরের শেষে মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩.৫ শতাংশ হতে পারে।’

এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান, মরক্কো এবং পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো। তবে উপসাগরীয় দেশ, নাইজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা এবং ভেনেজুয়েলার মতো তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর অর্থনীতি এই সুযোগে চাঙ্গা হতে পারে।

ডলারের ভূমিকায় পরিবর্তন

ঐতিহ্যগতভাবে তেলের দাম বাড়লে ডলার শক্তিশালী হয়। তবে এবার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে, তেলের দাম বাড়লেও ডলারের মানে তেমন বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি।

বিশ্লেষকদের মতে, ডলারের এই দুর্বলতা তেল আমদানিকারক দেশগুলোর জন্য কিছুটা স্বস্তির কারণ হতে পারে। কারণ তেল ডলারে কেনা হয়, তাই ডলার দুর্বল থাকলে আমদানির খরচ কিছুটা কমে যায়।

শেয়ারবাজারে কী প্রভাব?

এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সরবরাহ সংকট তৈরি না হওয়ায় বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজার তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে।

গোল্ডম্যান স্যাকস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের গ্লোবাল কো-হেড ওসমান আলী বলেন, ‘যতক্ষণ না এটি একটি বড় আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিচ্ছে, ততক্ষণ বিনিয়োগকারীরা বিষয়টিকে উপেক্ষা করার চেষ্টা করছেন।’

তবে খাতভিত্তিক কিছু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। তেল ও গ্যাস কোম্পানি এবং প্রতিরক্ষা খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে, এয়ারলাইনসের মতো তেলনির্ভর খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলের শেয়ারবাজার ৬ শতাংশ বেড়েছে।

বিটি/ আরকে

Tags: ,

এই ধরনের আরও নিউজ

আরও সংবাদ

কারেন্সি কনভার্টার

বাজেটের সবখবর

© কপিরাইট ২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT