ইসকন নেতা ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বাংলাদেশে সব পরিষেবা আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা। তবে এরপরও স্বাভাবিক রয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও যাতায়াত।
গতকাল বুধবার বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক দেখা যায়। এ ছাড়া দিনভর পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াতও স্বাভাবিক দেখা গেছে। বৃহস্পতিবারও (২৮ নভেম্বর) পরিস্থিতি একই রকম স্বাভাবিক রয়েছে।
চিন্ময় দাস গ্রেপ্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার মুক্তির দাবিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের পরিষেবা বন্ধের হুমকি দেন। এতে দিনভর গুজব ছিল বাণিজ্য ও যাত্রীসেবা বন্ধের।
তবে বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবির তরফদার গণমাধ্যমকে বলেন, “এদিন সকাল থেকে দিনভর বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াতে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। সব ধরনের পণ্যের আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে।”
বেনাপোল বন্দরের আমদানিকারক আব্দুস সালাম জানান, তিনি এবার সরকারের কাছ থেকে চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। ভারত থেকে চাল আমদানি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশের সঙ্গে পরিষেবা বন্ধের হুমকি দিলেও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এ পথে বাণিজ্য স্বাভাবিক রেখেছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ওঠে।
এরপর গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। গত সোমবার রাজধানী ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিটি/ আরকে