বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ কফি উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিলে আগামী বছর যে কফি সংগ্রহ করা হবে খরার কারণে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর প্রভাবে বছর শেষ না হতেই বিশ্ববাজারে কফির দাম বেড়েছে এবং শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) তা ৪৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে পৌঁছেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে এদিন লেনদেনের শেষদিকে কফির দাম আবার কমে আসে।
রয়টার্স জানায়, ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে শুক্রবার কফির দাম প্রতি পাউন্ডে ৩ ডলার ৩৫ সেন্টে স্থির হয়, যা ১৯৭৭ সালের পর সর্বোচ্চ। তবে এদিন তা আবার ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমে পাউন্ডপ্রতি ৩ ডলার ১৮ সেন্টে নেমে আসে। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অ্যারাবিকা কফির দাম বেড়েছে প্রায় ৭১ শতাংশ।
দাম বাড়ার বিষয়ে ডিলাররা জানিয়েছেন, চলতি বছর ব্রাজিলের কিছু চাষি বেশি দাম পাওয়ার আশায় কফি সরবরাহে বিলম্ব করেছেন। এর ফলে স্বল্পমেয়াদে সরবরাহ সংকটের সঙ্গে বাণিজ্যিক ক্ষতি সৃষ্টি করেছে। এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন।
শুক্রবার রোবাস্তা কফির দামও বেড়ে টনপ্রতি ৫ হাজার ৬৯৪ ডলারে পৌঁছায়। পরে অবশ্য তা ২ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৩৭৭ ডলারে নেমে আসে।
এদিকে যার বীজ থেকে চকলেট তৈরি হয় সেই কোকোর দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে বিশ্ববাজারে। ২৯ নভেম্বর আইসিইতে ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কোকোর দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রতি টনের মূল্য পৌঁছেছে ৯ হাজার ৪২৫ ডলারে, যা গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
শুক্রবার লন্ডনের কোকোর ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তির মূল্যও গত পাঁচ মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছে। পণ্যটির দাম ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে টনপ্রতি ৭ হাজার ৭০৮ পাউন্ডে স্থির হয়। এর আগে গত এপ্রিলে আইভরি কোস্ট ও ঘানার উৎপাদন কমে যাওয়ায় কোকোর দাম টনপ্রতি ১১ হাজার ৭২২ ডলারে পৌঁছায়।
বিটি