নরওয়েজিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এনটিএনইউ)-এর দুই অধ্যাপকের নেতৃত্বে একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, তারা সফলতার চূড়ান্ত রেসিপি খুঁজে পেয়েছেন এবং এটি কেবল তারুণ্যের ফোয়ারা নয়। প্রকৃতপক্ষে, গবেষণায় বলা হয়েছে, বেশি ইচ্ছাশক্তি সম্পন্ন লোকেরা সাফল্যের দিকে বেশি পরিচালিত হয় এবং এই ধরনের লোকদের মধ্যে যে একটি জিনিস মিল আছে- সেটা হল ইতিবাচক মানসিকতা।
গবেষণার ফলাফল:
গবেষণাটি ১৩ থেকে ৭৭ বছর বয়সী ১৫০০জন অংশগ্রহণকারীদের উপর পরিচালিত হয়েছিল, যাদের গড় বয়স ২৬। অংশগ্রহণকারীদের তাদের আবেগ, দৃঢ়তা এবং মানসিকতা পরিমাপের জন্য কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়েছিল। গবেষকরা সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন মানসিকতার স্কোর সহ অংশগ্রহণকারীদের প্রতি বিশেষভাবে আগ্রহী ছিলেন। ইতিবাচক মনোভাবের লোকদের জন্য গবেষকরা এটিকে বৃদ্ধির মানসিকতা হিসাবে উল্লেখ করেছেন। এতে বাধার মধ্যদিয়ে সুযোগ দেখা এবং সমস্যার সম্মুখীন হলে সমাধান খোঁজার বিষয়টি জড়িত ছিল।
বিপরীতে, একটি স্থির মানসিকতা সেই চিন্তা প্রক্রিয়াকে বোঝায় যেখানে একজন ব্যক্তি মনে করেন যে বুদ্ধিমত্তা, প্রতিভা এবং ব্যক্তিত্ব পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে যেতে পারে না। স্থির মানসিকতার লোকেরা চ্যালেঞ্জ এড়াতে চেষ্টা করে, সহজেই হাল ছেড়ে দেয় এবং গঠনমূলক সমালোচনা পরিচালনা করতে পারে না।
এনটিএনইউ-এর মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং সমীক্ষার সহ-লেখক হারমুন্ডুর সিগমুন্ডসন বলেন, “আমরা যখন সবচেয়ে ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে এমন ৫ শতাংশের সঙ্গে সবচেয়ে নেতিবাচক ৫ শতাংশের তুলনা করি তখন আমরা আবেগ ও সংকল্পের মধ্যে বড় পার্থক্য দেখতে পাই। । এটা যুক্তিযুক্ত হতে পারে যে বৃদ্ধির মানসিকতা আমাদের সমাজে সর্বাঙ্গীণ হওয়া উচিত।”
মানসিকতার বিকাশ কীভাবে হবে
আত্ম-সচেতনতা: ভিতরের দিকে তাকান এবং নিজেকে আরও বোঝার চেষ্টা করুন। এটি আপনাকে আপনার ত্রুটিগুলো এবং অপূর্ণতাগুলো জানতে এবং সেগুলোকে ঘুরিয়ে দেওয়ার মানচিত্র তৈরি করতে সহায়তা করবে।
অন্যদের কাছ থেকে শিখুন: প্রত্যেকেরই শেয়ার করার নিজস্ব পাঠ আছে। যখন আমাদের মানুষের চারপাশে ইতিবাচক মানসিকতা থাকে, তখন আমরা তাদের কাছ থেকে শিখতে পারি।
আপনার লক্ষ্যগুলোকে অগ্রাধিকার দিন: আপনার লক্ষ্যগুলো লিখে রাখুন যাতে আপনি জানতে পারেন যে আপনাকে কী অগ্রাধিকার দিতে হবে।
চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন: চ্যালেঞ্জ থেকে পালিয়ে না গিয়ে, সেগুলো গ্রহণ করুন এবং সেগুলোকে শেখার সুযোগ হিসাবে দেখুন।
ধৈর্য ধরুন: সাফল্য সোজা জিনিস নয়। ধৈর্য ধরুন এবং আপনার নিজের দক্ষতা এবং দৃঢ়তার উপর বিশ্বাস রাখুন।
বিটি/ আরকে