সবধরনের অটোমোবাইল আমদানিতে প্রায় ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই ধরনের শুল্ক আরোপ হবে সেমিকন্ডাক্টর ও ওষুধ আমদানির ওপরও।
এর আগে শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, আগামী ২ এপ্রিল থেকে অটোমোবাইলের ওপর শুল্ক কার্যকর হবে। এ বিষয়ে ১ এপ্রিল মন্ত্রিসভার সদস্যরা বিস্তারিত প্রতিবেদন দেবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন, মার্কিন অটোমোবাইল রফতানির প্রতি বিদেশী বাজারগুলো অন্যায্য আচরণ করে আসছে। উদাহরণস্বরূপ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গাড়ি আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যা মার্কিন যাত্রীবাহী গাড়ির ২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্কের তুলনায় চার গুণ। তবে মেক্সিকো ও কানাডা ছাড়া অন্য দেশ থেকে আমদানীকৃত পিকআপ ট্রাকের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এ নীতি ডেট্রয়েটভিত্তিক গাড়ি নির্মাতাদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, অটোর ওপর ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার পরদিনই ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইইউর বাণিজ্য প্রধান মারোস সেফকোভিচের সাক্ষাতের কথা রয়েছে। সেখানে থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক, ট্রাম্প মনোনীত মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার ও জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পরিচালক কেভিন হাসেট। এ আলোচনায় ট্রাম্প ঘোষিত শুল্কের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।
গত সপ্তাহে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পারস্পরিক শুল্কের প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ শুল্কচাপ এড়াতে ইইউ কী করতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প দাবি করেন, ইইউ এরই মধ্যে মার্কিন গাড়ির শুল্ক কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হারের সমান করার ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে অঞ্চলটির কর্মকর্তা এমন কোনো পদক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছেন।
ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো এস্টেটে মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টর চিপস আমদানিতে তিনি ২৫ শতাংশ বা তার বেশি শুল্ক আরোপ করবেন, যা এক বছরের মধ্যে আরো বাড়তে পারে।
শুল্ক কার্যকরের তারিখ না জানালেও ট্রাম্প বলেছেন, ওষুধ ও চিপ নির্মাতাদের যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা স্থাপনের জন্য কিছু সময় দিতে চান, যাতে তারা শুল্ক এড়াতে পারে।
বিশ্বের বড় কিছু কোম্পানি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন বিনিয়োগের ঘোষণা দেবে বলেও জানান রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। তবে এ বিষয়ে আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি।
চার সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয় নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে চীন থেকে সব ধরনের আমদানির ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যা বিদ্যমান শুল্কের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে।
এছাড়া ১২ মার্চ থেকে সব আমদানীকৃত ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে কানাডা, মেক্সিকো, ইইউ এবং অন্যান্য ও বাণিজ্য অংশীদারদের জন্য কোনো ছাড় থাকবে না।
বিটি/ আরকে