1. ershadmc@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক .
  2. ashraf@websofttechnologyltd.com : businesstimesadmin :
  3. shafidocs@gmail.com : News Desk : News Desk
  4. rezadu31@gmail.com : বিজনেস ডেস্ক : বিজনেস ডেস্ক .
  5. abdullahsheak8636@gmail.com : Shk Abd : Shk Abd
নতুন সংবাদ

বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের হার কমেছে: আইএলও

বিজনেস টাইমস
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫

বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের হার কমেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও ইউনিসেফ। বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ২০১৩ সালে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের হার ছিল ৩.২ শতাংশ, যা ২০২২ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ২.৭ শতাংশে। এতে প্রায় ১০ লাখ ৭০ হাজার শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরে এসেছে।

‘চাইল্ড লেবার : গ্লোবাল এস্টিমেটস ২০২৪, ট্রেন্ডস অ্যান্ড দ্য রোড ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিগত এক দশকে স্কুলে ভর্তি হার বৃদ্ধি, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সম্প্রসারণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে এ অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৩ সালের তুলনায় বাংলাদেশে ক্ষতিকর কাজে নিযুক্ত শিশুদের অনুপাতও স্থিতিশীল রয়েছে।

হার ৪.৩ শতাংশ থেকে সামান্য বেড়ে ২০২২ সালে ৪.৪ শতাংশ হয়েছে। তবে সামগ্রিক শিশুশ্রমের হার ৮.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮.৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ‘আমরা ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনকে স্বীকৃতি দিই। এটি প্রমাণ করে যে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর যৌথ প্রচেষ্টা, সমাজের সচেতনতা এবং পরিবারকেন্দ্রিক সহায়তা শিশুশ্রম নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি আরো বলেন, ‘তবে এখনো শিশুশ্রমের মোট পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকায় আমাদের দায়িত্ব শেষ হয়নি। সামাজিক সুরক্ষাব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে, শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে হবে এবং শিশুশ্রম প্রতিরোধে আরো বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’

বিশ্বব্যাপী কৃষি খাতেই শিশুশ্রমের হার সবচেয়ে বেশি, যা ৬১ শতাংশ। বাংলাদেশেও অনানুষ্ঠানিক খাত, বিশেষ করে কৃষি, গৃহস্থালি ও হালকা শিল্পে শিশুরা নিযুক্ত থাকে। এসব ক্ষেত্রে নিরাপত্তাঝুঁকি বেশি এবং শিশুদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি।

আইএলও বাংলাদেশ অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গুঞ্জন ডালাকোটি বলেন, ‘শিশুশ্রমের হার কমলেও কাজ এখনো শেষ হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম বন্ধে আইএলও কনভেনশন ১৩৮ ও ১৮২-র বাস্তবায়ন আরো জোরদার করতে হবে।’

প্রতিবেদনে আইএলও ও ইউনিসেফ একযোগে সরকার ও অংশীদারদের প্রতি আহবান জানিয়েছে। সেগুলো হলো দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের চিহ্নিত করে সহায়তা প্রদান, প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ, তরুণদের জন্য সম্মানজনক কর্মসংস্থান তৈরি, সাপ্লাই চেইনে শিশুশ্রম নির্মূলে আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

Tags: , , , ,

এই ধরনের আরও নিউজ

আরও সংবাদ

কারেন্সি কনভার্টার

বাজেটের সবখবর

© কপিরাইট ২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT