যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈশ্বিক শুল্ক আরোপের বৈধতা নিয়ে শুনানি করবে। আগামী বুধবার এই শুনানি ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসে ফেরার পর ট্রাম্প জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অন্যায্য বলে বিবেচিত বাণিজ্য অনুশীলনের বিরুদ্ধে পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেন। পাশাপাশি মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের পণ্যের ওপরও পৃথক শুল্ক আরোপ করেছিলেন তিনি।
‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অংশ হিসেবে নেয়া এসব পদক্ষেপ দ্রুত আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এক নিম্ন আদালত রায় দেয়, ট্রাম্প শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে তার ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছেন। পরে আপিলের মাধ্যমে প্রশাসন সাময়িকভাবে সেই শুল্ক কার্যকর রাখে। আগস্টে আপিল আদালত ৭-৪ ভোটে শুল্ক আরোপকে অবৈধ ঘোষণা করলে ট্রাম্পকে সুপ্রিম কোর্টে যেতে হয়।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় বিশ্ববাণিজ্যে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। যদি আদালত শুল্ক আরোপকে অবৈধ ঘোষণা করে, তাহলে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক বাতিল হতে পারে। অন্যদিকে, আদালত যদি ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পক্ষে যায়, তাহলে আরও শুল্ক আরোপের পথ খুলে যেতে পারে।
এই রায়ের প্রভাব ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও অটোমোবাইলের মতো খাতভিত্তিক শুল্কের ওপর পড়বে না। তবে শুল্কের কারণে ছোট ব্যবসায়ীরা বড় চাপের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা।
নিউইয়র্কের ওয়াইন কোম্পানি মালিক শোয়ার্টজ বলেন, এই শুল্ক আরোপ ছোট ব্যবসার টিকে থাকা কঠিন করে তুলেছে। চীন থেকে পণ্য আমদানিকারক মাইক গ্রেসি জানান, ট্রাম্পের নীতির কারণে লাখ লাখ ডলার অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে তাদের।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মার্কিন আমদানির প্রায় ৪০ শতাংশই মধ্যবর্তী পণ্য, যা খুচরা ভোক্তাদের জন্য নয়। ফলে এই শুল্ক দীর্ঘমেয়াদে মার্কিন ব্যবসার প্রতিযোগিতা কমিয়ে দিতে পারে।
Tags: ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন শুল্কনীতি