1. ershadmc@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক .
  2. ashraf@websofttechnologyltd.com : businesstimesadmin :
  3. shafidocs@gmail.com : News Desk : News Desk
  4. rezadu31@gmail.com : বিজনেস ডেস্ক : বিজনেস ডেস্ক .

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ‘শাটডাউন’ ঘোষণা

বিজনেস টাইমস
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
  • ৩২ বার দেখা হয়েছে

শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করেছে শিক্ষক সমিতি। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে কাকরাইলে এ ঘোষণা দেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন।

এ সময় তিনি বলেন, আমরা এখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার নিয়ে এসেছি, দাবি আদায়ের জন্য এসেছি। আমাদের ওপর নির্বিচারে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অরাজকতা এবং অন্যায়। আমরা কারো বিরুদ্ধে এখানে কথা বলতে, কোনো ষড়যন্ত্র করতে আসিনি। আমরা এসেছি আমাদের অধিকার চাইতে, দাবি আদায় করতে। দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না। সে পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন চলবে, কোনো শিক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে না। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আবাসন চাই, বঞ্চনা নয়’, ‘বাজেট কাটছাঁট চলবে না’, ‘হামলার বিচার চাই প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।

দাবি আদায়ে গতকাল বুধবার দুপুর থেকে চলছে তাদের অবস্থান কর্মসূচি। এর ফলে রাজধানীর ব্যস্ত এই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যানজট ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের এলাকাগুলোতেও। সেই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল থেকে একের পর এক বাসে কাকরাইল মোড়ে আসতে শুরু করেন জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একে একে সেখানে প্রায় ৩০টি বাসে আসেন তারা।

এর আগে গতকাল সকাল ১১টার দিকে তিন দফা দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেন। মিছিলটি শাঁখারি বাজার, রায়সাহেব বাজার, তাঁতি বাজার, বংশাল মোড় হয়ে গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের সামনে এলে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। ওই ব্যারিকেড ভেঙে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে এলে তারা আবারও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। তবে বাধা উপেক্ষা করে সচিবালয়, শিক্ষা ভবন, হাই কোর্ট, মৎস্য ভবনের মোড়ের বাধা উপেক্ষা করে কাকরাইল মসজিদের সামনে আসেন তারা।

পরে মিছিলটি প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে আবারো পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে ৩৮ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এরপর দুপুর ২টার দিকে প্রায় দুইশ শিক্ষার্থী কাকরাইল মোড়ে এসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি বাসে এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেন কয়েকশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে জবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমীন ছিলেন।

বিকাল ৫টার দিকে উপাচার্যের নেতৃত্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যায়।

রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, কিছু একটা ঘটলেই যমুনায় যাওয়ার প্রবণতা সহ্য করা হবে না। এ ক্ষেত্রে সরকার কঠোর হবে। বক্তব্য চলাকালে ভিড় থেকে তথ্য উপদেষ্টাকে লক্ষ্য করে পানির বোতল নিক্ষেপ করা হলে তার মাথায় লাগে। এরপর বক্তব্য বন্ধ করে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

রাত ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের পক্ষে ব্রিফ করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন। তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্তে এসেছি, আমরা কোনোভাবেই এ জায়গা ছেড়ে যাব না। যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে তাহলে এর সব দায় উপদেষ্টা ও সরকারকে নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর দুপুরে যে হামলা হয়েছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো— বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা, জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাশ ও বাস্তবায়ন, ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।

বিটি/ আরকে

নিউজটি শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও নিউজ

বাজেটের সবখবর

কারেন্সি কনভার্টার

© কপিরাইট ২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT