1. ershadmc@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক .
  2. ashraf@websofttechnologyltd.com : businesstimesadmin :
  3. shafidocs@gmail.com : News Desk : News Desk
  4. rezadu31@gmail.com : বিজনেস ডেস্ক : বিজনেস ডেস্ক .

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পরে আর্থিক বাজারে যেসব প্রভাব

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৯ বার দেখা হয়েছে

আর্থিক নীতি বাস্তবায়ন ও সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মার্কিন নির্বাচনে জয়লাভ করে এখনও আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করেন ট্রাম্প। শুল্ক আরোপ ও চাকরি কমানোসহ একাধিক ঘোষণা এসেছে তার তরফে। এসব সিদ্ধান্ত গত এক মাসে বৈশ্বিক আর্থিক বাজারকে কীভাবে প্রভাবিত করেছে তা সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে পর্যালোচনা করেছে ইউরোনিউজ বিজনেস।

হোয়াইট হাউজে প্রবেশের পর পরই প্রতিশ্রুতি অনুসারে ব্যাপক হারে শুল্ক আরোপ, ফেডারেল কর্মী হ্রাস এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তি আলোচনার সূচনা করেন ট্রাম্প। এসব ঘটনার ফলাফল অনিশ্চিত হলেও আর্থিক বাজারে এর প্রভাব লক্ষ গেছে। কেননা বিনিয়োগকারীরা দ্রুতই ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

ইউরোনিউজ বিজনেস প্রতিবেদন অনুসারে, গত ৫ নভেম্বর নির্বাচনে জেতেন ট্রাম্প। এরপর থেকে বছরের শুরুতে মার্কিন ডলারের সূচক (ডিএক্সওয়াই) শীর্ষে পৌঁছায়। কিন্তু ২০ জানুয়ারির অভিষেকের পর থেকে বিপরীত প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্পের অভিষেকের এক মাস পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বাজারের লেনদেন শেষে সূচক ২ দশমিক ২ শতাংশ কমে ১০৭-তে পৌঁছায়।

ডলারের দুর্বলতার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, ট্রাম্পের অভিষেকের আগে বিনিয়োগকারীরা শক্তিশালী ডলার আশা করেছিলেন। এরপর পূর্বাভাসের তুলনায় বিনিময় হার শীর্ষে পৌঁছলে অনেকেই মুনাফার জন্য বিনিয়োগ বিক্রি করে দেন। ফলে ডলারের চাহিদা কমতে থাকে। দ্বিতীয়ত, মেক্সিকো ও কানাডার ওপর শুল্ক প্রয়োগে বিলম্ব করেছেন ট্রাম্প। রিপ্রোসিক্যাল ট্যারিফ আরোপেও সময় নিয়েছেন। এমনকি স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, কম্পিউটার চিপ ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যের আরোপিত শুল্ক এপ্রিলের আগে কার্যকর হবে না। অর্থাৎ শুধু চীনের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বাস্তবায়ন হবে। ফলে তাৎক্ষণিক মূল্যস্ফীতির পুনরুত্থানের ভয় কমে গেছে, যার প্রভাব পড়েছে ডলারের ওপর।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের পর মার্কিন বন্ডের ইল্ডও কমে গেছে। এর একটি কারণ ঋণ সীমা ব্যালান্স শিটের হ্রাসকে ধীর করতে হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ফেডারেল রিজার্ভ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্ভবত সরকারি ঋণের উচ্চস্তর বজায় রাখতে চাইবে। এতে ঋণ বাবদ খরচের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে এবং ডলার দুর্বল হবে।

বৈশ্বিক পুঁজিবাজার ট্রাম্পের অভিষেকের পর থেকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে, বিশেষত ইউরোপীয় সূচক। ব্যাপক হারে শুল্ক আরোপে দেরি হওয়ায় এখনো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ঝুঁকি নেয়ার মনোভাব দেখা যাচ্ছে। তবে পুঁজিবাজারের উল্লম্ফনের পেছনে কিছু মৌলিক কারণ রয়েছে। যেমন বৈশ্বিকভাবে নিম্ন সুদহার, চলমান এআই উন্মাদনা ও ইতিবাচক করপোরেট আয়। একই সঙ্গে ট্রাম্পের রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রভাব পড়েছে ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর শেয়ারে।

ট্রাম্পের অভিষেকের পর এক মাসের মধ্যে স্বর্ণের দাম ৮ শতাংশ বেড়েছে। সম্ভাব্য বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধে ও ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশঙ্কার কারণে নিরাপদ সম্পদের চাহিদা বাড়ছে। দুর্বল মার্কিন ডলারও স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে সহায়তা করেছে।

ক্যাপিটাল ডটকমের সিনিয়র মার্কেট বিশ্লেষক কাইল রড বলেন, ‘‌ট্রাম্পের নীতির কারণে বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে, যা মূল্যস্ফীতি ও দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির জন্য ঊর্ধ্বমুখী ঝুঁকি নিয়ে এসেছে। এছাড়া কাটছাঁটের কৌশল কর্মসংস্থান এবং ভোক্তা ব্যয়ের ওপর কী প্রভাব ফেলবে, সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

এদিকে ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে প্রবেশের পর থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম চাপের মধ্যে রয়েছে। ব্রেন্ট ফিউচারের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬ দশমিক ৬ এবং ডব্লিউটিআই ফিউচার ৭ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামের পতন ঘটানো, বাস্তবে তা-ই দেখা যাচ্ছে।

ট্রাম্পের অভিষেকের পর বিটকয়েনের দাম ৪ শতাংশ কমে গেছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ক্রিপ্টো রাজধানী’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে জেতার পর একের পর এক রেকর্ড ভেঙেছে এ ডিজিটাল সম্পদ। সম্ভবত নির্দিষ্ট নীতিগত উদ্দীপনার অভাবে গত এক মাসে বিটকয়েনের দামে পতন ঘটেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও নিউজ

পুরাতন নিউজ খুঁজুন

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© কপিরাইট ২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT