হার্ট একটি জটিল অঙ্গ এবং অনেক রহস্য ধারণ করে। এর আগে, হার্টের স্নায়ুতন্ত্রকে শুধুমাত্র একটি রিলে সিস্টেম হিসাবে বিবেচনা করা হতো, যা শুধু মস্তিষ্ক থেকে পাঠানো সংকেতগুলোর উপর ভিত্তি করে হৃদস্পন্দন নিরীক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করতো । তবে নেচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, হার্টের জটিল নিউরন নেটওয়ার্ক আগের জানার চেয়েও বেশি কাজ করে।
সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট এবং নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা গবেষকরা হার্টের অভ্যন্তরীণ স্নায়ুতন্ত্রকে ইন্ট্রাকার্ডিয়াক স্নায়ুতন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন। শুধু হার্টের ছন্দ নিয়ন্ত্রণের বাইরেও এটির অনেক বেশি সক্রিয় অবদান রয়েছে।
এই যুগান্তকারী গবেষণায় দেখা গেছে, হার্টের স্নায়ুতন্ত্র অনেক বেশি স্বাধীন। এটি তার নিজস্ব ছন্দ তৈরি করতে পারে এবং মস্তিষ্কের নির্দেশের বাইরে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আগে যা জানা ছিল হার্ট তার চেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি প্রায় হৃৎপিণ্ডের ‘নিজস্ব ছোট মস্তিষ্ক’ এর মতো। মস্তিষ্ক অঙ্গটির কার্যকারিতার প্রতিটি অংশকে মাইক্রোম্যানেজ করে না।
গবেষকরা জেব্রাফিশ পরীক্ষা করেছেন, যাদের হার্ট গঠন এবং কার্যকারিতার দিক থেকে মানুষের হৃদয়ের সাথে অদ্ভুতভাবে মিল রয়েছে। হৃৎপিণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে ফোকাস করে, যার নাম সাইনোট্রিয়াল প্লেক্সাস (এসএপি), যা হার্টের পেসমেকার হিসেবে কাজ করে। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের নিউরন আবিষ্কার করেছেন। এই নিউরনগুলো বিভিন্ন নিউরোট্রান্সমিটার ব্যবহার করে যোগাযোগ করে- যেমন এসিটাইলকোলিন, গ্লুটামেট এবং সেরোটোনিন, যা হৃদস্পন্দনের উপর স্থানীয় নিয়ন্ত্রণের একটি স্তর নির্দেশ করে যা আগে সম্পূর্ণরূপে বোঝা যায়নি।
গবেষকরা এটিকে তাদের অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক অংশ বলে অভিহিত করেছেন যখন তারা বুঝতে পেরেছিলেন যে হার্টের নিউরনগুলোর একটি পেসমেকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে। এটি ছন্দময় বৈদ্যুতিক নিদর্শন তৈরি করে, যা মস্তিষ্ক এবং মেরুদন্ডের কর্ড যেভাবে হাঁটা এবং শ্বাস নেওয়ার মতো গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে এবং সমন্বয় করে তার অনুরূপ।
বিটি/ আরকে