একটার পর একটা সিরিজ, টুর্নামেন্ট, ভ্রমণ—সব মিলিয়ে নিঃশ্বাস ফেলারও সময় নেই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। এশিয়া কাপ থেকে শুরু করে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ—টানা খেলার চাপে মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্লান্ত দল। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমও স্বীকার করেছেন, খেলোয়াড়দের বিশ্রাম প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বিশ্রামের সুযোগ নেই। কারণ, সামনে অপেক্ষা করছে নতুন মিশন—আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
আগামী ৮ নভেম্বর থেকে সিলেটে শুরু হবে সিরিজের প্রস্তুতি। বর্তমানে তাইজুল ইসলাম ছাড়া বাকি টেস্ট স্কোয়াড সদস্যরা জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্যস্ত রয়েছেন, যাতে ম্যাচ ফিটনেস বজায় থাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষ করা ক্রিকেটাররা পাচ্ছেন মাত্র কয়েক দিনের বিরতি, তারপরই শুরু হবে টেস্ট প্রস্তুতি ক্যাম্প।
এ বছর এখন পর্যন্ত চারটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ দল। সর্বশেষ সিরিজ ছিল জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, যেখানে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল তারা। এবার আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে ২০২৫-২০২৭ আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র। সিলেটে প্রথম টেস্ট ১১ নভেম্বর, দ্বিতীয়টি ১৯ নভেম্বর মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে।
এই সিরিজে বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে এক বিশেষ মুহূর্ত—মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট। দেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৯৮ টেস্ট খেলা এই অভিজ্ঞ ব্যাটার দ্বিতীয় ম্যাচে নামলেই ছুঁয়ে ফেলবেন অনন্য মাইলফলক। বিসিবি জানিয়েছে, এই ঐতিহাসিক অর্জনকে ঘিরে আয়োজন করা হবে বিশেষ কর্মসূচি ও সংবর্ধনা।
এছাড়া বোর্ড ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছে, নতুন টেস্ট চক্রের শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে তার পূর্ণ মেয়াদের নেতৃত্বযাত্রা।
সব মিলিয়ে বিশ্রামহীন সূচির মাঝেও বাংলাদেশ দল নামছে নতুন উদ্দীপনায়—নতুন চক্রের প্রথম টেস্ট জিতে শুরু করতে চায় নতুন এক সম্ভাবনার অধ্যায়।
Tags: টেস্ট সিরিজ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট