এই সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন এমন একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছে যা ক্রিপ্টো প্রেমীদের উচ্ছ্বসিত করেছে, সংশয়ীদের বিরক্ত করেছে, এবং বেশিরভাগ সাধারণ মানুষকে উদাসীন রেখেছে। বিষয়টি হলো “বিটকয়েন স্ট্র্যাটেজিক রিজার্ভ”।
কিন্তু এটি কী? সংক্ষেপে, মার্কিন সরকার যেসব বিটকয়েন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জব্দ করেছে, সেগুলো একত্রিত করে একটি রিজার্ভ হিসেবে সংরক্ষণ করবে—যেভাবে স্বর্ণ ও পেট্রোলিয়াম মজুদ রাখা হয়।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
সমর্থকদের মতে, ভবিষ্যতে যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি সাধারণ মুদ্রার বিকল্প হয়ে ওঠে, তবে এটি আর্থিক নিরাপত্তার গ্যারান্টি হতে পারে। এমনকি জাতীয় ঋণ কমাতেও সাহায্য করতে পারে (যদিও মার্কিন সরকার বিটকয়েন বিক্রি করলেই এর দাম পড়ে যাবে)।
সমালোচকদের আপত্তি
তাদের মতে, এটি একটি প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে এক অনিশ্চিত ডিজিটাল সম্পদের সংযোগ তৈরি করবে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকে মনে করছেন, এর মূল লক্ষ্য শুধুই বিটকয়েনের মূল্য বাড়িয়ে প্রাথমিক বিনিয়োগকারীদের লাভবান করা।
কীভাবে কাজ করবে?
ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জব্দ করা বিটকয়েন ব্যবহার করেই এই রিজার্ভ গঠন করা হবে, যা আনুমানিক ১৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের। তবে ভবিষ্যতে এটি কীভাবে পরিচালিত হবে, সে বিষয়ে এখনো পরিষ্কার দিকনির্দেশনা নেই।
প্রতিক্রিয়া ও বাজারের প্রতিফলন
ঘোষণার পরপরই বিটকয়েনের দাম ৯০,০০০ থেকে ৮৫,০০০ ডলারে নেমে আসে। অনেক বিনিয়োগকারী আরও আক্রমণাত্মক নীতির প্রত্যাশা করেছিলেন, যা হতাশার কারণ হতে পারে।
সত্যিই কি বিটকয়েন ‘ডিজিটাল গোল্ড’?
বিটকয়েন হল একপ্রকার ডিজিটাল কোড, যা মূলত একটি বিকেন্দ্রীভূত সম্পদ। যদিও এটিকে স্বর্ণের ডিজিটাল সংস্করণ বলা হয়, তবে এটি অত্যন্ত অস্থির।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বিনিয়োগের আগে পর্যাপ্ত গবেষণা করা জরুরি—এবং শুধু এই একটি সংবাদ পড়ে সিদ্ধান্ত নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না!
বিটি/ আরকে