সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে অ্যাপলের নতুন স্মার্টওয়াচ বিষয়ে কিছু তথ্য। অ্যাপল সম্প্রতি একটি পেটেন্ট ফাইলিং করেছে যা থেকে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে কী কী থাকবে নতুন ওই স্মার্টওয়াচে। বিভিন্ন টেক নিউজ সাইটে এসব তথ্য জানা গেছে।
পেটেন্ট তথ্য মতে, অ্যাপল তাদের নতুন ধরনের স্মার্টওয়াচে দুইটি স্ক্রিন এবং ক্যামেরা রাখতে পারে। বর্তমানের অ্যাপল ওয়াচগুলোতে একটি স্ক্রিন এবং সেন্সরসহ নির্দিষ্ট কিছু ফিচার থাকে। নতুন স্মার্টওয়াচে প্রধান অংশটি স্থির থাকার পাশাপাশি একটি “ফোল্ডেবল” বা ভাঁজ করা ডিসপ্লে থাকবে। এর ফলে, ঘড়িটি ছোট অবস্থায় সাধারণ কাজের জন্য ব্যবহার করা যাবে, আর খোলার পর এটি একটি বড় স্ক্রিনে রূপ নেবে।
এই ডিজাইনটি ঠিক কিভাবে কাজ করবে, তা এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
বর্তমান অ্যাপল ওয়াচ মডেলগুলোতে কোনো ক্যামেরা নেই, তবে নতুন পেটেন্টে দুটি ক্যামেরার ধারণা দেওয়া হয়েছে। একটি ক্যামেরা বাইরে থাকবে, যা ছবি তোলা বা বিভিন্ন বস্তু স্ক্যান করার জন্য ব্যবহার করা যাবে। আরেকটি ক্যামেরা থাকবে ভেতরের দিকে, যা মূলত ভিডিও কল বা ফেসটাইমের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। দ্বৈত ক্যামেরার সবচেয়ে বড় সুবিধা হতে পারে ভিডিও কলের সময় ক্যামেরার অবস্থান পরিবর্তনের সুবিধা। এতে ব্যবহারকারী সহজেই কোণ ঠিক করে নিজের ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন।
পেটেন্টে আরও বলা হয়েছে, এতে কিছু বিশেষ সেন্সর থাকতে পারে, যা ঘড়ির খোলা বা বন্ধ অবস্থান বুঝতে পারবে। এমনকি আলোর পরিবর্তন শনাক্ত করতেও সক্ষম হতে পারে। যদি এই প্রযুক্তি বাস্তবায়ন হয়, তাহলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিসপ্লের উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, বা ঘড়ির খোলা বা বন্ধ অবস্থান অনুযায়ী নির্দিষ্ট ফাংশন চালু বা বন্ধ করবে।
এছাড়া, নতুন মডেলটি সাধারণ স্মার্টওয়াচের চেয়ে আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে। যেমন, বর্তমানে অ্যাপল ওয়াচ বেশিরভাগ সময় আইফোনের ওপর নির্ভরশীল থাকে, কিন্তু এই নতুন ডিজাইনটি সেটিকে আরও স্বাধীনভাবে ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে পারে। বড় স্ক্রিন থাকায় এটি ভিডিও দেখা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং এমনকি গেম খেলার মতো কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এটি বাজারে কবে আসবে বা আদৌ আসবে কি না, সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত কিছু বলা সম্ভব নয়। অ্যাপল অনেক সময় নতুন প্রযুক্তির পেটেন্ট ফাইল করে, তবে সব পেটেন্টের ভিত্তিতে পণ্য তৈরি হয় না।