যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে গত সপ্তাহে বিভিন্ন দেশের আমদানিকৃত পণ্যের ওপর বড় ধরনের শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রম্প। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও গ্যাজেটও। যদি অ্যাপলের মতো কোম্পানি এ অতিরিক্ত খরচ ক্রেতাদের ওপর চাপিয়ে দেয়, তাহলে আইফোনের দাম বাড়তে পারে ৩০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে হাই-এন্ড বা উচ্চমূল্যের আইফোনের দাম পৌঁছবে ২ হাজার ৩০০ ডলারে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বেশিরভাগ আইফোন এখনো চীনে তৈরি হয়। দেশটি সবচেয়ে বেশি শুল্কের মুখে পড়েছে। ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর আগে বছরের শুরুতে দুই ধাপে মোট ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। ফলে এখন চীনা পণ্যের ওপর মোট শুল্কের হার দাঁড়িয়েছে ৫৪ শতাংশ। এ সিদ্ধান্ত যদি চালু থাকে, তাহলে অ্যাপলকে সামনে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। অতিরিক্ত এ খরচ কোম্পানিগুলো নিজেরা বহন করবে, নাকি গ্রাহকদের কাছ থেকে পণ্যের দাম বাড়িয়ে আদায় করবে- তা এখন দেখার বিষয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, অ্যাপল প্রতি বছর ২২ কোটির বেশি আইফোন বিক্রি করে। কোম্পানির সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপ।
শুল্ক আরোপের আগে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ১৬-এর সবচেয়ে সাশ্রয়ী মডেলের দাম ছিল ৭৯৯ ডলার। রোজেনব্ল্যাট সিকিউরিটিজের বিশ্লেষকদের হিসাব অনুযায়ী, শুল্কজনিত অতিরিক্ত খরচের ভার ক্রেতাদের ওপর দেয়া হলে এর দাম ৪৩ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৪২ ডলার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। ৬ দশমিক ৯ ইঞ্চি ডিসপ্লে ও ১ টেরাবাইট স্টোরেজযুক্ত আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের বর্তমান বাজারমূল্য ১ হাজার ৫৯৯ ডলার। আর শুল্ক সংক্রান্ত মূল্যবৃদ্ধি গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দিলে এর দাম বেড়ে প্রায় ২ হাজার ৩০০ ডলারে পৌঁছতে পারে। অর্থের এ সংখ্যা বাংলাদেশী মুদ্রায় দাঁড়ায় প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
বিটি/ আরকে